আমার প্রাণ প্রিয় দেশবাসী ও তরিকত পন্থী আত্মার সন্তানেরা



বর্তমান দেশের অবস্থার প্রেক্ষাপটে, মূখ্যম সময়ে সাধুবাদ প্রতিষ্ঠার জন্যেই, “সাধু মন্ত্রনালয়” বাস্তবায়নের লক্ষ্যে। সকল তরিকত পন্থী পীর-মাসায়েখ, সাধু-মহৎ, পাগল-মস্তান,বাউল-ব্রহ্মচারী, সাধক-সন্যাসী গণদের “আমির আহলে তরিকত” এর আমন্ত্রন পত্র পাওয়া মাত্রই একত্রিত হউন। কারন দেব-দেবতা/ আউলিয়াদের অর্জিত এই বাংলা ও ভারত বর্ষের ধার্মিক স্বাধীনতা, বহিরাগত শক্তির সহযোগীতা, দেশের অবস্থানরতদের কুট-কৌশলী ধবংসাত্বক পরিকল্পনা নশ্চাৎ করতঃ দেশ ও জাতিকে আধ্যাত্বিক ভাবে রক্ষা করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। এখন আমরা দঢ় প্রতিজ্ঞ যে দেশের সরকার যদি সাধুবাদের নীতি পুর্ণাঙ্গ গ্রহন করে, তাহলে বিশ্বের ইতিহাসে এই প্রথম, বিরল ঘটনা বলে লেখা হবে।

এছাড়া বিশ্বের মহা মানব রাসূল (সাঃ) নবী,আম্বীয়াদের ইতিহাস পর্যবেক্ষন করে ভারত বর্ষে বিশেষ করে সারা দেশে সাধ্য মোতাবেক, আউলিয়া-কুতুব, পীর-মাসায়েখ,দার্শনীক-বুদ্ধিজীবী,দেবতা, সাধক-সন্যাসী, বহ্মচারী,সাধু-মহৎ,পাগল-মস্তানদের, আস্তানা-আখড়াবাড়ী,দরবার,মসজিদ,মন্দির,গির্জা,গুরু দোয়ারা,উপাসনালয়, খানকা শরীফ সর্বক্ষেত্রে পায়ে হেটে কাফেলার মাধ্যমে, নিজের দলকে নিয়ে বা একক ভাবে সরজমিনে তদন্ত সাপেক্ষে জানা যায় অনেক কিছু, যাহার কিঞ্চিৎ বর্ণনা নিম্নেঃ পর্যবেক্ষনে যানা যায় যে বিশ্বের সর্বোমোট জনসংখ্যার বেশির ভাগ মানুষ যে কোন ধর্মের বিশ্বস্ত হয়ে, কোন না কোন ভাবে ধর্ম গুরুদের নিকট বায়াৎ গ্রহন করেছেন বা স্বত্বা/স্রষ্টা স্বীকার করেছেন। তবে দূর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, বাংলা ও ভারতের মোট জনসংখ্যার বৃহত্তম জনগোষ্ঠী তরিকত পন্থী। কিন্তু এত বড় জনগোষ্ঠীর, কোন সঠিক পরিসংখ্যান আজও জানা যায়নি।

সরকারীভাবে কোন দরবার-আস্তানা, মসজিদ এবং অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ের সঠিক তালিকা নেই, নেই কোন পদক্ষেপ, তরিকত পন্থীদের সাংবিধানিক সংস্কারের ফলে সাধু মহৎ দ্বীনি আলেমসহ সকল তরিকত পন্থীদের যুগ-উপোযোগী স্বাস্থ্য-চিকিৎসা, কর্মসংস্থান, শিক্ষা-গবেষণা, সাধনার নিরাপত্তা সংক্রান্ত নীতিমালা তৈরী ও বাস্তবায়ন আজও সম্ভবপর হয়নি। তরিকত পন্থীদের গুরু সনাক্ত করতঃ “পরিচয়পত্র” প্রদানের জন্য দীর্ঘদিন ধরে তরিকত পন্থীদের নাম নিবন্ধন কর্মসূচী “জাতীয় সাধু সংসদ” করে আসছে। তরিকত পন্থীদের একটি অংশ অনেক অবহেলিত, এদেরকে এখনো চিহ্নিত করার পরও বিভিন্ন জটিলতার কারনে, সহযোগিতা করা সম্বব হয় নাই। বর্তমানে সকল তরিকত পন্থী দেশের উন্নয়নের মুল শ্রোত ধারা হতে বিচ্ছিন্ন, প্রতিনিয়ত তাদের পরিবার ও সমাজ-রাষ্ট্রীয় সকল সুযোগ-সুবিধা হতে বঞ্চিত।

অথচ তাদের মধেও মেধা, শিক্ষা ও যোগ্যতার কমতি নেই, উক্ত মেধা কাজে লাগাতে পারলে, তারাও দেশ তথা জাতির উন্নয়নের অবদান রাখতে সক্ষম হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। তাই আসুন বাংলার জন্ম আধ্যাত্বিক মনীষী “শাহী বাবা সৈয়দপুরী” এর আহব্বানে বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দেই যে, জাতি-ধর্ম-বর্ণ-দল-মত, নির্বিষেশে মানবতার উত্তম দৃষ্টান্ত স্থাপনের লক্ষ্যে সারা বিশ্বের তরিকত পন্থীদের উপস্থিতিতে তৈরী করব একদিন নতুন ইতিহাস যা পূর্বে আবিষ্কার করা হয় নাই। সংস্কার হবে সমাজ, এই বৈষম্যের অবসান ঘটানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ জাতীয় সাধু সংসদের উদ্যোগে শুধুমাত্র তরিকত পন্থীদের সুবিধার্থে সরকার কর্তৃক সাধু মন্ত্রনালয় বাস্তবায়নের লক্ষ্যেই (এন,এস,পি) গৃহীত সকল কর্মসুচী।



মোঃ সালেহ আহমেদ (সেতু)
মহাসচিব
জাতীয় সাধু সংসদ (এন এস পি),
কেন্দ্রীয় সংসদ, ঢাকা।